প্রথম অধ্যায়: স্মৃতির জানালা

 

রিশা টেলিভিশনের সামনে বসে নিজের পুরানো অ্যালবাম দেখতে দেখতে হারিয়ে গেলো অতীতের স্মৃতিতে। কলেজের দিনগুলোর কথা মনে পড়তেই তার চোখের সামনে ভেসে উঠল এক মিষ্টি স্মৃতি। সেই স্মৃতির মূল চরিত্র ছিল আরিফ, তার প্রিয় বন্ধু।

 

কলেজের দিনগুলো ছিল অনেকটা স্বপ্নের মতো। রিশা আর আরিফ একসাথে ক্লাস করত, একসাথে পড়াশোনা করত, এবং একসাথে সময় কাটাত। আরিফ ছিল একজন মেধাবী ছাত্র, কিন্তু তার বড় গুণ ছিল তার হাস্যোজ্জ্বল মনের কথা। রিশার যেকোনো দুঃখ বা কষ্ট মুহূর্তেই দূর করে দিত আরিফের হাসি।

 

কিন্তু জীবন সবসময় মসৃণ পথে চলে না। কলেজের শেষ দিকে আরিফের পরিবারের কিছু সমস্যার কারণে তাকে হঠাৎ করে শহর ছেড়ে যেতে হয়। সেই বিদায়ের দিন, রিশা আর আরিফের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা বাকি থেকে যায়। 

 

দ্বিতীয় অধ্যায়: বিদায়ের দিন

 

কলেজের শেষ দিনটি ছিল খুবই আবেগঘন। বন্ধুদের বিদায়, প্রিয় ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট, সবকিছু মিলিয়ে যেন এক অজানা যাত্রার প্রস্তুতি। সেইদিন রিশা আরিফকে একটি চিঠি দিয়েছিল। চিঠিটিতে ছিল তার মনের কথা, তার ভালোবাসা। কিন্তু আরিফ সেই চিঠি পায়নি, কারণ সে সেদিন ক্যাম্পাসে আসতে পারেনি। 

 

রিশার মনে ছিল একটা আশার আলো, যদি আরিফ সেই চিঠি পড়ত, তবে হয়তো তার জীবন অন্যরকম হতে পারত। 

 

তৃতীয় অধ্যায়: ফোনের রিং

 

রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে দিয়ে টেলিফোনের রিং বাজলো। রিশা ফোনটা তুলল, কানে রাখতেই অপরপ্রান্ত থেকে মৃদু, করুণ কণ্ঠে একটি শব্দ ভেসে এলো, “হ্যালো?”

 

“হ্যালো, কে বলছেন?” রিশার কণ্ঠে বিস্ময়।

 

“আমি আরিফ, তোমার কলেজের বন্ধু। মনে আছে?”

 

“আরিফ! এতদিন পরে? কেমন আছো?” রিশা উত্তেজিত হয়ে উঠলো। আরিফের সাথে তার অনেক বছর ধরে যোগাযোগ ছিল না। কলেজের দিনগুলো এখন স্মৃতির পাতায় মলিন হয়ে গেছে।

 

“ভালো আছি, তবে একটা কথা বলার ছিল। তোমার সময় হবে?” আরিফের কণ্ঠে কিছুটা উদ্বেগ।

 

“হ্যাঁ, বলো। কী হয়েছে?”

 

“আমরা যখন কলেজে পড়তাম, তুমি কি মনে করো আমাদের বন্ধুত্বটা কেমন ছিল?” আরিফ প্রশ্ন করলো।

 

“আমাদের বন্ধুত্বটা ছিল খুবই মজবুত। কেন? কোনো সমস্যা হয়েছে?”

 

“তুমি কি মনে করো, আমরা যদি আরও কিছু সময় একসাথে কাটাতাম, তাহলে আমাদের জীবনটা অন্যরকম হতে পারতো?” আরিফের কণ্ঠে গভীর অনুশোচনা।

 

“হয়তো, কে জানে! তুমি সেদিন যদি আসতে, যখন আমরা কলেজ থেকে বের হচ্ছিলাম, হয়তো আমাদের গল্পটা অন্যরকম হতো,” রিশা বললো।

 

“তুমি ঠিক বলেছো। সেদিন আমি যদি আসতাম, হয়তো জীবনটা আরো সুন্দর হতো। তবে এখনো সময় আছে, রিশা। আমরা আবার শুরু করতে পারি, যদি তুমি চাও।” আরিফের কণ্ঠে আশার সুর।

 

রিশা কিছুক্ষণ চুপ করে রইল, অতীতের স্মৃতিরা তার মনে জাগ্রত হল। “হ্যাঁ, আরিফ। আমরা আবার শুরু করতে পারি। জীবন আমাদের দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছে, চল সেই সুযোগটা কাজে লাগাই।”

 

“ধন্যবাদ, রিশা। আমি কালই তোমার শহরে আসছি। দেখা হবে, ভালো থেকো।” ফোনের লাইন কেটে গেল।

 

রিশা ফোনটা রেখে দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে রইল। তার মুখে একটি মৃদু হাসি ফুটে উঠলো। হয়তো সত্যিই, সেদিনের অপেক্ষা ছিল তাদের জন্য এক নতুন শুরু।

 

✍️_আমি কোন বড় লেখক না তবে শখের বসে লেখালেখি করি । 

✍️_জানিনা কেমন লিখি যদি ভালো লাগে জানাবেন আর লেখা ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন।

✍️_আপনাদের উৎস পেলে পরবর্তীতে আরো ভালো কিছু লেখার চেষ্টা করুন।

 ✍️_আপনারা পড়তে আগ্রহী হলে পরের অধ্যায় গুলোও দেব..?

✍️_আশা করি সবাই ভাল লাগবে সবাইকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

#সেদিনের_অপেক্ষা #বই #প্রতিলিপি #বইটই