মার্ক জাকারবার্গ এর মজার তথ্য

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ এক বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব। মাত্র একত্রিশ বছর বয়সে বিশ্বের সেরা ধনীদের একজন হওয়ার জন্যই নয়, নানা ঝড়ঝঞ্ঝার মধ্যে ফেসবুকের মতো গ্লোবাল জায়ান্ট -এর সফল নেতৃত্বদানের জন্যও তিনি প্রশংসিত। মার্ক জাকারবার্গ সম্পর্কে কয়েকটি মজার তথ্য।

মার্ক জাকারবার্গ এর মজার তথ্য

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ এক বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব। মাত্র একত্রিশ বছর বয়সে বিশ্বের সেরা ধনীদের একজন হওয়ার জন্যই নয়, নানা ঝড়ঝঞ্ঝার মধ্যে ফেসবুকের মতো গ্লোবাল জায়ান্ট -এর সফল নেতৃত্বদানের জন্যও তিনি প্রশংসিত। মার্ক জাকারবার্গ সম্পর্কে কয়েকটি মজার তথ্য। 

১. জাকারবার্গ লাল-সবুজ বর্ণান্ধ, এর মানে হচ্ছে, তিনি নীল রঙটাই সবচেয়ে বেশি ভালো দেখতে পান। তিনি নিজেও বলেছেন, 'নীলই আমার কাছে সবচেয়ে বর্ণিল রঙ। আমি নীল সবকিছু দেখতে পাই।' এ কারণেই ফেসবুকের নীলের এত প্রাধান্য। 

২. ফেসবুকে জাকারবার্গের নিজস্ব প্রোফাইল আছে।  এটা তার সম্বন্ধে কী জানায়? জানায় যে, ভাঙা ও গড়া দুটোই ভালোবাসেন তিনি এবং বাড়াবাড়ি ব্যাপারটা তাঁর পছন্দনীয় নয়। তাঁর প্রিয় মিউজিশিয়ান ডাফট পাংক ও লেডি গাগা এবং তিনি ইংরেজির পাশাপাশি চারটি ভাষা পড়তে ও লিখতে পারেন : ফরাসি,  হিব্রু,  ল্যাটিন ও প্রাচীন গ্রিচ। নিজের পোষা কুকুর 'বিস্ট' এর জন্য তার প্রচুর টান।

৩. ফেসবুকে কেউ ইচ্ছা করলেও মার্ক জাকারবার্গকে ব্লক করতে পারবে না।

৪. জাকারবার্গের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে, তবে এটি থেকেও তাঁর সম্বন্ধে তেমন কিছুই জানা যায় না। গত চার বছরে তিনি মাত্র ১৯ বার টুইট করেছেন, তবে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৩ লাখের বেশি। 

৫. ২০০৮ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিশ্বের তরুণতম শত-কোটিপতি তথা বিলিয়নিয়াররর স্থান দখল করেন জাকারবার্গ।  বর্তমানে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। 

৬. একেবারেই অল্পবয়সে প্রযুক্তিতে হাতেখড়ি জাকারবার্গের। তাঁর বাবা যখন তাঁকে বাড়ির কাছে একটি কলেজে গ্রাজুয়েট কম্পিউটার কোর্সে ভর্তি করতে নিয়ে যান তখন ইনস্ট্রাকটর বলেন,'এই বাচ্চাকে ক্লাসে নিয়ে আসতে পারবেন না। ' জাকারবার্গের বাবা তখন ইনস্ট্রাক্টরকে জানান, এই 'বাচ্চা 'ই ছাত্র। 

৭. স্কুলে পড়ার সময় 'সাইন্যাপস মিডিয়া প্লেয়ার ' নামে একটি মিউজিক অ্যাপ তৈরি করেন জাকারবার্গ। এটি দেখে মাইক্রোসফট ও এওএল(AOL) উভয় কোম্পানিই জাকারবার্গকে মোটা বেতনে চাকরির প্রস্তাব দেন। কিন্তু চাকরি না করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন  জাকারবার্গ এবং রুমমেট এডুয়ার্ডো স্যাভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিটজ ও ক্রিস হিউজেস- এর সাথে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ফেসবুক। 

৮. একটা কলেজ পার্টিতে ওয়াশরুমে যাওয়ার লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় হবু স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান- এর সাথে পরিচয় হয় জাকারবার্গের। ২০০৪-এর ৫ ফেব্রুয়ারী ফেসবুকে যোগ দেন প্রিসিলা, ফেসবুকের প্রথম দিকের কর্মীদের একজন হিসেবে। 

৯. প্রিসিলার পরিবারের সাথে যাতে ঠিকভাবে যোগাযোগ করতে পারেন সেজন্য ২০১০-এ চীনা ভাষা শিখতে শুরু করেন জাকারবার্গ। বিয়ের আংটিটাও নিজে ডিজাইন করেন,  যাতে মাঝখানে একটি চুনি পাথরের দুই পাশে বসানো ছিল কয়েকটা হীরা। 

১০. প্রতিবছর নিজের জন্য অন্যরকম একটি চ্যালেঞ্জ নির্ধারণ করেন জাকারবার্গ।  যেমন, ২০১১ সালে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন,  কেবল সেই পশুরই তিনি মাংস খাবেন যেটি তিনি নিজে শিকার করেছেন।

১১. জাকারবার্গ টেলিভিশনের ভক্ত নন এবং তাঁর নিজের কোনো টিভি নেই।  জন্মসূত্রে ইহুদি হলেও নির্দিষ্ট কোনো ধর্মে তাঁর বিশ্বাস নেই। 

আজ এ পর্যন্তই।  ধন্যবাদ সবাইকে।  আসসালামু আলাইকুম।