ডিজিটাল মার্কেটিং বাংলা কোর্স

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে বিপনন ব্যবস্থাকে অনলাইনে সম্পূর্ণ করাকে বুঝায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জনপ্রিয় কতকগুলো সাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা হয়। এসব মাধ্যমগুলোর মধ্য সব থেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। বাংলাদেশের সমস্ত বিপননকারি মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুকের ব্যবহার করে থাকে। তারা অন্য আরো মার্কেট প্লেস ব্যবহার করে এদের মধ্য অন্যতম একটি মার্কেট প্লেস হলো দারায।

ডিজিটাল মার্কেটিং বাংলা কোর্স

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে বিপনন ব্যবস্থাকে অনলাইনে সম্পূর্ণ করাকে বুঝায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জনপ্রিয় কতকগুলো সাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা হয়। এসব মাধ্যমগুলোর মধ্য সব থেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। বাংলাদেশের সমস্ত বিপননকারি মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুকের ব্যবহার করে থাকে। তারা অন্য আরো মার্কেট প্লেস ব্যবহার করে এদের মধ্য অন্যতম একটি মার্কেট প্লেস হলো দারায। আজকের আলোচনায় আমরা এই দুইটা সাইট নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাছাড়া মার্কেটিং  ব্যবহৃত আরো কতকগুলো মাধ্যম হলো লেখালেখির জন্য blogger.com ভিডিও মার্কিটিং এর জন্য youtube.com ইত্যাদি। নিচে আমরা একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার হওয়ার জন্য কি কি বিষয় দক্ষতা অর্জন করা দরকার তা আলোচনা করা হলো।

  1. একজন দক্ষ ব্লগার হওয়া দরকার
  2. একজন দক্ষ ইউটউবার হওয়া দরকার
  3. গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেসিক জানা দরকার
  4. ওয়েব ডেভেলপমেন্টে বেসিক জানা দরকার
  5. সোসাইল নেটওয়ার্ক এর পেজ পরিচালনায় দক্ষ হওয়া দরকার
  6. গুগল এডস পরিচালনায় দক্ষ হওয়া দরকার
  7. এসইও সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে
  8. বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে

নিচে প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো ;

1.দক্ষ ব্লগার হওয়া ;-

আজকের সময়ে ব্লগিং অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ব্লগিং এর মাধ্যমে একজন ব্লগার তার বিভিন্ন সৃজনশীল ভাবনা চিন্তা  লেখালেখি এর মাধ্যমে প্রকাশ করে। তাছাড়া বিভিন্ন সংবাদ আজকাল ব্লগিং এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। বহুল ব্যবহৃত ব্লগিং সাইট হলো blogger.com। এর মাধ্যমে একজন লেখক তার লেখা এখানে প্রকাশ করতে পারে। এতে তার জনপ্রিয়তা বারে জাতে করে একটা বিশাল পরিমান লোকজন তার সাইটে প্রবেশ করে। এতে করে একজন ব্লগার দুই ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারে একটি হলে গুগল এডস্যান্স এর সাথে কানেক্ট করা এক্ষেত্রে আপনাকে কমপক্ষে ১০ হাজার ভিওয়াস হতে হবে আপনার ব্লগার পোস্টগুলোতে আরেকটি ইনকামের ক্ষেত্র হতে পারে আপনি কোন কোম্পানির হয়ে তাদের নতুন অথবা পুরাতন কোনো পন্য  সম্পর্কে আপনার  সাইটে  তথ্য উপস্থাপন করলেন এতে অই কোম্পানি আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দিয়ে থাকবে।  এখন প্রশ্ন হতে পারে যে কি ভাবে একজন দক্ষ ব্লগার হবেন তাহলে আমি বলব একজন দক্ষ ব্লগার হওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ব্লগার সম্পর্কে জানতে হবে। এবং ভালো লেখতে জানতে হবে আর লেখার মান খুব ভালো হতে হবে। লেখাগুলো প্রাসঙ্গিক বিষয় হতে হবে। আর তা যদি কনো আপডেট খবর হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। তাছাড়া বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি অথবা বিখ্যাত সব স্থাপনা ইত্যাদি সম্পর্কে লেখতে পারেন এতে আপনার ব্লগিং সাইটে প্রচারিত হওয়ার সম্ভবনা থাকবে। এতে করে আপনি ব্লগিং আরো বেশি দক্ষ হতে পারবেন।

  1. দক্ষ ইউটিউবার হওয়া;-

বর্তমানে সবচে বেশি ব্যবহৃত ভিডিও শেয়ারিং সাইট হচ্ছে ইউটিউব। এতে যারা ভিডিও আপলোড করে তাদের বলা হয় ইউটউবার আর প্রত্যেকটি ইউটউবারের একটা করে চেনেল থাকে। এই চেনেলের একটা ইউনিক নাম থাকে। একজন ব্যাক্তি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিডিও তৈরি করে প্রয়োজন অনুসারে গ্রাহক তার চেনেলের অই সব ভিডিওতে গমন করে। এতে যদি আপনার জনপ্রিয়তা ভালো হয় তাহলে আপনার এখান থেকে ইনকামের সুজোগ থাকে। ইউটিউব থেকে আপনি দুই ভাবে টাকা ইনকাম করা যায় যার একটি হলো গুগল এডস্যান্স এর সাথে সংযুক্ত করে এতে আপনার ইউটিউব চেনেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার প্রয়োজন  ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ আওয়ার সময় দরকার এতে তুলনামূলক ব্লগার থেকে একটু জটিল কিন্তু ইউটিউবে ইনকামের পরিমান অনেক ভালো হয়। ইউটুবে আপনি আরেকভাবে টাকা ইনকাম করতে পারেন তা হচ্ছে ভিডিও মার্কেটিং এর মাধ্যমে। এতে গ্রাহক আপনাকে তার প্রতিষ্ঠানের পণ্য সম্পর্কে একটা ছোট ভিডিও দিবে এবং এই ভিডিওটিকে বলবে আপনার চেনেলের ভিডিও শুরু করার পূর্বে  দিয়ে দিতে যাতে গ্রাহক রা তার ভিডিওতে গমন করলে এই সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রথমে উপস্থাপন হয় এতে গ্রাহক রা অই প্রতিষ্ঠানের পন্য সম্পর্কে জানতে পারে। এই দুইভাবে একজন ইউটুবার টাকা ইনকাম করতে পারে।

 

3.গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে জানা;-

বর্তমানে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে গ্রাফিক্সের ব্যবহার নেই। লোগো ডিসাইন, বেনার ডিজাইন, থেম ডিজাইন ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনের দরকার আছে। সেক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার নেই। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে কেরিয়ার নিতে হলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিক্ষতে হবে।

4.ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর বেসিক জানা;-   

ডিজিটাল মার্কেটিং শেক্ষার জন্য আপনাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জানতে হবে না হলে আপনি ওয়েব রিসার্চ সম্পর্কে কিছু জানতে পারবেন না।  তাই আপনাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ভালো  ভাবে জানতে হবে।

.সোস্যলমীডিয়ামার্কেটিংদক্ষহয়া ;-

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা বড় সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং।  এক্ষেত্রে ব্যপারটা আমি একটু বিস্তারিত ভাবে বর্ননা করে বলতে হবে।

বিশষ করে ফেসবুক সম্পর্কে কারন পৃথিবির সবচে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক।  বিশ্ব জুরে ফেসবুক ব্যবহার কারির সংখ্য প্রায় ১.৩ বিলিয়ন। যা আসলেই মার্কেটিং করার জন্য যথেষ্ট বড় সেক্টর। এক্ষেত্রে আপনি ফেসবুক এডস এর মাধ্যমে এই বিশাল সংক্ষ্যার জংনগনের কাছে পৌছে দিতে পারেন। তাই আজকাল বড় বড় প্রতিষ্ঠান টিবিতে বিজ্ঞাপন না দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে দেয়। তাছাড়া টিবিতে বিজ্ঞাপন দিতে গেলে কোটি কোটি টাকা খরছ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে এখানে তার ১০ ভাগের  ভাগ খরচ হয় তাই আপনার জন্য ফেসবুকই হল সবচে ভালো মাধ্যম মার্কেটিং এর জন্য। তাছাড়া আপনি ফেসবুকে পেইজ খুলে সেখানে আপনার ব্যাবসায় পতিচালনা করতে পারেন। এক্ষেত্রে তাকে ফ-কমার্স বলবে। আজকাল শত শত প্রতিষ্ঠান যাদের কনো ওয়েব সাইট নেই কোনো শরুম নেই তারা ফ-কমার্স এর মাধ্যমে ব্যবসায় শুরু করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনাকে ফেইসবুক মার্কেটিং  অনেক দক্ষ হতে হবে যা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক প্রেক্টিস করতে হবে।

.এফিলিয়েট মার্কেটিং;-

ডিজিটাল মার্কেটিং এর নতুন একটি সেক্টর হল এফিলিয়েট মার্কেটিং।  এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সংগার ক্ষেত্রে বলা যায় যে কোনো এক কোম্পানি পন্য বিক্রয় করার ক্ষেত্রে লোকজন নিয়োগ দিবে এতে করে আপনি প্রতি বিক্রের উপর কমিশন পাবেন। এতে আপনার নিজিস প্রমশনাল ওয়েবসাইট থাকতে হবে যাতে করে আপনি প্রডাক্ট আপলোড করলে যাতে তা আপনার গ্রাহকরা ক্রয় করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি যদি ওয়েবসাইটের এসব ওয়েব সাইটের জামেলায় পরতে না চান তাহলে এফবি পেইজ খুলতে পারেন অথবা আপনার যদি বিশাল ইউটিউব চেনেল থাকে তাহলে আপনি পন্যর প্রমোশন তার মাধ্যমেও করতে পারেন।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপযুক্ত ক্ষেত্র ;-   আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কেরিয়ার গড়তে চান তাহলে আমি বলবে এক্ষেত্রে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারন ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে অন্যান্য প্লার্টফ্লোর্মের তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং কিছুটা সহজ।