Mi Router 4C
রাউটার আসলে কি? বর্তমান যুগে এমন একজন কে পাওয়া যাবেন যে কিনা রাউটার কি বা এই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস টা কি কাজে লাগে টা জানেনা বা জানা নেই।

রাউটার আসলে কি? বর্তমান যুগে এমন একজন কে পাওয়া যাবেন যে কিনা রাউটার কি বা এই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস টা কি কাজে লাগে টা জানেনা বা জানা নেই।
তাহলে আগে জেনে নেয়া যাক রাউটার কি?
⇒রাউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র, যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি। এটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। রাউটার হচ্ছে একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে ডাটা প্যাকেট তার গন্তব্যে কোন পথে যাবে তা নির্ধারণ করে।
তাহলে এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ডাটা প্যাকেট কি?
⇒ডাটা প্যাকেট :- ডেটা প্যাকেট হচ্ছে ডেটার ব্লক বা ডেটার সমষ্টি। রাউটার ডেটা প্যাকেটগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম দূরত্বের পাথ(path) ব্যবহার করে। রাউটার ইন্টারনেটে “ট্রাফিক ডিরেক্টিং” এর কাজ সম্পন্ন করে। সাধারণভাবে, একাধিক নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃ নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে একটি ডাটা প্যাকেটকে এক রাউটার থেকে অন্য রাউটারে পাঠানো হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি গন্তব্য নোডে পৌঁছে।
তাহলে আমরা জানতে পারলাম না জেনে গেলাম যে রাউটার কি আর কিভাবে কাজ করে থাকে।
পোস্ট টি তো রিভিউ সংক্রান্ত, টাই আমরা মূল কথায় ধীরে ধীরে এগোতে পারি।
রাউটার টি কেনা হয়েছে বেশ কিছুদিন হলো, রাউটার টি বানিয়েছে শাওমি ব্র্যান্ড। যা চাইনিজ একটা কোম্পানি। যারা মোবাইল টেক এর দিক থেকে অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ইতিমধ্যে। রাউটার টির মডেল : শাওমি ৪সি ( Xiaomi 4C)। ওয়াইফাই রাউটারের মৌলিক সমস্যা ও তার সমাধান।
সর্বপ্রথম ই এটার লুকিং নিয়ে কিছু বলতে চাই,
১। দেখতে খুব ই স্মার্ট
২। সাদা রঙের
৩। নিচের অংশ টা জালের মত করে প্লাস্টিক এর আবরণ দেয়া
৪। ৪ টি অ্যান্টেনা যুক্ত
৫। অ্যাডাপটার ও সাদা রঙের।
৬। নীল রঙের দুইটি লাইট দেয়া।
৬। বাইরে থেকেই দেখা যাবে ৩ টি পোড দেয়া, একটি তে ইন্টারনেটের লাইন ইনপুট আর বাকি দুইটা তে আউটপুট অপশন।
৭। ৫ডিবিআই অ্যান্টেনা সম্পন্ন
৮। ৩০০ এমবিপিএস সর্বোচ্চ গতি।
এবার বলবো এটার কিছু সুবিধা আর অসুবিধা নিয়ে।
সুবিধা ????
১। এটা স্মার্ট রাউটার নামে পরিচিত, এর কারণ রাউটার টি অ্যাপ দিয়ে পরিচালনা করা যায়। অ্যাপ এ অনেক সুন্দর সুন্দর অপশন দেয়া আছে যা দিয়ে অনেক কিছুই করা সম্ভব, যেমন :-
i) যেকোনো সময় রাউটার টি রিবুট দিতে পারবেন।
ii) যারা যারা চালাবে তাদের মোবাইল এর নাম চলে আসবে।
iii) কে কতক্ষন চালালো তার হিসেব থাকবে আর কত এমবি খরচ করলো তার ও হিসেব থাকবে।
iv) যেকোনো সময় নাম পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা যাবে।
v) যেকোনো আইডি চাইলেই ব্লক করে দেয়া যাবে
vi) বড়ো বা ভারী কোনো নেটের কাজ করলে অপটিমাইজ করে নিতে পারা যাবে, তখন রাউটার স্পিড বুস্ট দিবে।
vii) রাউটার শেয়ার করা যাবে।
viii) গেস্ট অপশন দেয়া যাবে।
ix) রাউটারে সিডিউল করে দেয়া যাবে যে, এই কয়টা থেকে এই কয়টা বন্ধ থাকবে আবার ওপেন হবে।
x) যখন যাকে ইচ্ছা হবে তখন তাকে ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত করে যাবে এই রাউটার এর আয়তায় যদি থেকে থাকে
xi) রিপিটার মুড আছে।
xii) পারেন্টাল কন্ট্রোল আছে যার সুবিধা টা হলো, আপনি চাইলে কোনো লিংক ডিসেবল করে রাখতে পারবেন wifi app এর সেটিং থেকে, সেখানে চাইলেও কেউ ঢুকতে পারবে না।
২। যদি মোবাইল এ ১ কাটি বা দাগ ও নেটওয়ার্ক পেয়ে থাকে তাহলেও নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার রা যা দিয়েছে তা ই পাওয়া যাবে। যেমন আপনার নেট যদি ৩এমবি/সে হয় তাহলে ৩এমবি/সে ই পাবেন ওই ১ কাটি কানেকশন দিয়ে।
৩. বিদ্যুৎ বিল নর্মাল মোবাইল এর চার্জ দিলে যেমন টা হয় তেমন ই।
৪. অ্যাডাপটার গরম হয় না তেমন।
৫. একসাথে ৫/৬ টি মোবাইল আর পিসি তে একসাথে কানেক্ট দিলেও করো স্পিড কোনো দিক থেকে কমে যায় না। সবার ই সমান স্পিড থাকে।
6. দুইটা লাইট আছে, একটার কাজ হচ্ছে পাওয়ার লাইট হিসেবে, আর একটার কাজ হচ্ছে নেট আছে কিনা টা বোঝার ক্ষেত্রে। এটা সুবিধা দে নেট আছে নাকি নেই তা সহজেই বুঝতে পারা যায়।
অসুবিধা সম্মুহ: ????
১. রেঞ্জ খুব ই কম।
২. দেয়ালে রাখার মত ধরন নাই। আপনার এটা কোনো কিছুর উপরেই রাখতে হবে।
৩. যে মেটেরিয়াল দিয়ে বানানো হইছে এর যেনো কেমন, ময়লা ধরে রাখে।
৪. আউটপুট অপশন মাত্র দুইটা, যা কারণে বেশি কম্পিউটারে কানেক্ট দিতে হাব কিনে নিতে হবে।
পরিশেষে বলা যায়,
যাদের ২/৩ রুমের ফ্ল্যাট, বা দোকানে ব্যাবহার করবেন তাদের জন্য এটা বেস্ট চয়েস।
এতটা ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ