কম্পিউটার এর জনক কে? দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার
এই লেখাটিতে কম্পিউটার এর জনক কে? দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার এবং কম্পিউটার শিখার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে কম্পিউটার ছাড়া কল্পনা আধুনিক বিশ্ব কল্পনা করা যায় না। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আধুনিক বিশ্ব গঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কম্পিউটারের। আপনি কি জানেন কম্পিউটার এর জনক কে? না জানলে এই লেখাটির মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
এই লেখাটিতে আমরা কম্পিউটার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এবং দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার ও বিভিন্ন প্রকার কম্পিউটার সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। চলুন আজকের লেখাটির মূল আলোচনা শুরু করি।
কম্পিউটার কি?
কম্পিউটার হলো এক ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র। যা ব্যবহার করে খুব দ্রুত গণনা ও গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা যায়। এর পাশাপাশি বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহ বিভিন্ন কাজ করা যায়।
আধুনিক বিশ্ব গঠনের কম্পিউটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জটিল কার্যক্রম সম্পাদনা এবং রোবোটিক্স সিস্টেমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিহার্য। কম্পিউটারের সাহায্যে দ্রুত যেকোনো ধরনের গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কম্পিউটারকে ইলেকট্রনিক ব্রেইন বলা হয়।
কম্পিউটার এর জনক কে?
সর্বপ্রথম কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা প্রকাশ করে হাওয়ার্ড অ্যাইকন নামে এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে ১৮১০ সালে চার্লস ব্যাবেজ যান্ত্রিক উপায় ব্যবহার করে কম্পিউটারের আধুনিক ভার্সন তৈরি করে। আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয় চার্লস ব্যাবেজ কে।
তিনি ছিলেন একজন গণিতবিদ, প্রকৌশলী ও দার্শনিক। চার্লস ব্যাবেজ সর্বপ্রথম ডিফারেন্স ইঞ্জিন ও অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামক দুটি যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরি করে। বর্তমানে চার্লস ব্যাবেজ আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসেবে পরিচিত।
দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করি। তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে এর ব্যবহার পূর্বে তুলনায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সরকারিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কম্পিউটার শিক্ষা চালু হয়েছে। পাশাপাশি কম্পিউটার ব্যবহার করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন কাজে জড়িত।
কম্পিউটারের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করলে একটি আর্টিকেলে শেষ করা সম্ভব নয়। কারণ এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম্পিউটারের কিছু নিজস্ব গুণাবলী রয়েছে যেমনঃ সূক্ষ্মতা, দ্রুতগতি, নির্ভুলতা, ক্লান্তিহীন, স্মৃতিশক্তি, বহুমুখীতা, অসীম জীবনশক্তি, স্বয়ংক্রিয়তা, যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত ও বিশ্বাসযোগ্যতা।
সাধারণত এই সকল গুণাবলীর মাধ্যমেই একটি কম্পিউটার গঠন হয়। বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন প্রয়োজনে কম্পিউটার ব্যবহার হয়ে আসছে। তারমধ্যেঃ
- শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার।
- রোবটিক্স পরিচালনায় কম্পিউটারের ব্যবহার।
- কর্ম ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- বিনোদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- ব্যবসা-বাণিজ্যে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- প্রশাসনিক কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- দেশ পরিচালনায় ও রাজনৈতিক কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- খেলাধুলার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কম্পিউটারের ব্যবহার।
- ডেটা প্রসেসিং এ কম্পিউটারের ব্যবহার।
- ডেটা সংরক্ষণে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- আবহাওয়ার পূর্বভাস গণনায় কম্পিউটারের ব্যবহার।
- প্রকাশনার কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- ডিজাইন এবং শিল্প খাতে কম্পিউটারের ব্যবহার।
- কোন স্থান ও বিষয়বস্তু মনিটরিং এ কম্পিউটারের ব্যবহার।
- বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণেও কম্পিউটারের ব্যবহার।
- নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার।
ইত্যাদি, এছাড়াও বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ধীরে ধীরে কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে।
কম্পিউটার শিখার পদ্ধতি
কম্পিউটার শিখার জন্য দেশে হাজার হাজার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এবং সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কম্পিউটার শিক্ষা চালু আছে। পাশাপাশি আপনারা অনলাইনে বিভিন্ন পেইড কোর্স অথবা ইউটিউবে ভিডিও দেখে কম্পিউটার শিখতে পারেন।
কম্পিউটার শিখার পদ্ধতি - এই লেখাটির মাধ্যমে কিভাবে খুব সহজ উপায়ে ঘরে বসে কম্পিউটারের A - Z শিখতে পারেন এই সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনি যদি এখনো কম্পিউটারের ব্যবহার সম্পর্কে না জানেন তাহলে ওই লেখাটি দেখে এখনই কম্পিউটার শিখে নিন।
বর্তমানে কম্পিউটারের প্রভাব কেমন?
এই সম্পর্কে আলোচনা করা বৃথা। আমরা চারদিকে লক্ষ্য করলে কম্পিউটারের প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারবো। বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার হয়। পূর্বের তুলনায় বর্তমানে কম্পিউটারের ব্যবহার ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কম্পিউটারের সাহায্যে আমরা কোন জটিল কাজকে খুব সহজেই সম্পন্ন করতে পারি। পাশাপাশি আমাদের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার অনেক তরুণ তরুণী কম্পিউটারের সাহায্যে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।
আপনিও চাইলে আপনার অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে কম্পিউটার ব্যবহার করে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন। ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার অনেক মাধ্যম আছে। বিশেষ করে ইউটিউবে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সিং টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন।
শেষকথা
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ, আশা করি কম্পিউটার এর জনক কে? দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি এখানেই সমাপ্ত ঘোষণা করছি। এই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানার থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন।