কিভাবে একটি ইউনিক আর্টিকেল লিখব?

আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজ আমি কিভাবে ইউনিক আর্টিকেল লিখে বিভিন্ন সাইটে পোস্ট করে তা থেকে ভাল একটা ইনকাম করবেন সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।  আমার লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়লে এবং সেই অনুসারে আপনি আর্টিকেল লিখলে সেই লেখা থেকে আপনি ভাল একটা ইনকাম করতে পারবেন বলে আশা করছি।

কিভাবে একটি ইউনিক আর্টিকেল লিখব?

আসসালামু আলাইকুম।

আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজ আমি কিভাবে ইউনিক আর্টিকেল লিখে বিভিন্ন সাইটে পোস্ট করে তা থেকে ভাল একটা ইনকাম করবেন সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।  আমার লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়লে এবং সেই অনুসারে আপনি আর্টিকেল লিখলে সেই লেখা থেকে আপনি ভাল একটা ইনকাম করতে পারবেন বলে আশা করছি। সুপ্রিয় পাঠকগণ আমরা অনেক সময় কষ্ট করে আর্টিকেল লিখি বিভিন্ন সাইটে প্রকাশ করার জন্য। কিন্তু দেখা যায় আমাদের আর্টিকেল গুলো রিজেক্ট করে দেয় তারা এর কারন কি? অনেক ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ আমাদের বলে দেয় কেন আর্টিকেল গুলো রিজেক্ট করা হল। আবার, অনেকসময় আমরা জানতে ও পারি না কেন আমার লেখাটি গ্রহনযোগ্যতা হারাল বা একসেপ্ট হল না। আসুন আমরা জেনে নেই এর কারন গুলো এবং সমাধানের উপায় সমূহ।

আর্টিকেল রিজেক্ট এর প্রথম ও প্রধান কারণ হিসেবে যেটা বলব তা হল নকল করা বা যেটাকে আমরা বলি কপি করে লেখা। ধরুন আপনি একটি সাইটে খুব সুন্দর একটি আর্টিকেল লিখা দেখে সেখান থেকে কপি করে এনে সেটা কোন ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই বর্তমানে যে সাইটে লিখতে চান সেই সাইটে লিখে দিলেন বা বলা যায় কপি করে পেস্ট করে দিলেন। তো এই কর্তৃপক্ষ কি আপনার লেখাটি যাচাই বাছাই না করে, না দেখেই তাদের সাইটে আপলোড করে দিবে?কি মনে হয় আপনার? অবশ্যই না। এর কারন হলো যে ওই লেখাটির  আসল মালিক সে কখনোই এমন অন্যায় মেনে নিবে না। অবশ্যই সে এটা সম্পর্কে জানতে চাইবে। এমনকি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে সে  অভিযোগ করতে পারে। অবশ্য সার্চ ইঞ্জিনের কাছে অভিযোগ দায়ের করার কিছু নেই। এমনিতেই সার্চ ইঞ্জিন তাকে সতর্ক করে দিবে। কারন যেহুতু সার্চ ইঞ্জিন আপনার লেখা আর্টিকেল এর ওপর বেজ করে ওয়েবসাইটে তাদের বিজ্ঞাপন দেয় এবং আপনাকে সেই ওয়েবসাইট থেকে একটা সম্মানি দেয়া হয়। তাই হবুহু নকল কপি যদি কোন আর্টিকেল থেকে থাকে তাহলে সার্চ ইঞ্জিন তার সফ্টওয়্যার এর সাহায্যে সহজেই তা ধরে ফেলে এবং সতর্ক করে দেয়।  যদি দেখা যায় যে আমি বা আপনি অন্যের জিনিস নকল করছি তাহলে কিভাবে একজন নকলকারী কে তারা সম্মান প্রদর্শন করবে বলে আপনি মনে করেন? তাই কেউ তাদের সাইটে এধরনের কপি করা আর্টিকেল বা পোস্ট পাবলিশ করে সার্চ ইঞ্জিনের চোখে তাদের সাইটের ক্যারিয়ার বা ভাবমূর্তি কখনোই নস্ট করতে চাইবে না। 

এখন আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করতেই পারেন, তাহলে আমি কিভাবে আর্টিকেল লিখলে তা কখনোই রিজেক্ট হবে না? এর উত্তর  জানতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে এই অংশটুকু খুব ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। শুধুমাত্র পড়লেই হবে না ভালো করে মাথায় রাখতে হবে‌ এবং এই টেকনিক গুলো আপনার আর্টিকেলে এপ্লাই করতে হবে। তাহলে আসুন টেকনিক গুলো জেনে নেই।

আপনি হয়ত জানেন এবং মানবেন যে  যারা সবসময় নতুন কিছু সৃষ্টির চেষ্টা করেন  তারা সর্বক্ষেত্রে বেশি মূল্যায়ন পাওয়ার যোগ্যাতা রাখে। আপনি কি জানেন গুগল কিভাবে কাজ করে ? ধরে নিচ্ছি আপনি হয়ত জানেন সবকিছু। না জানলে গুগলে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন আশা করি পড়ে নিবেন। যাইহোক আজ আমি এটা নিয়ে আলোচনা করব না আমি আপনাকে বলতে যাচ্ছিলাম কিভাবে আপনি আপনার সৃজনশীলতা কে বাড়াবেন? তাছাড়া কিভাবে আর্টিকেল বা পোস্ট লিখলে রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না এবং আপনার ইনকাম বাড়বে?

 

প্রথমত আপনাকে অনেকবেশি সৃজনশীল হতে হবে। সৃজনশীল হতে হলে অনেক বেশি জানতে হবে আপনাকে। আপনি যখন কোন কিছু মুখস্ত করেন অথবা কারো থেকে কোন কিছু নকল করেন তখন আপনি সেই ব্যক্তির আইডিয়া বা চিন্তা-ধারাকে নকল করলেন। সেই সাথে আপনি আপনার নিজের প্রতিভা কে এভাব  বিনষ্ট করলেন। আপনি যদি কোন কিছু মুখস্ত লিখেন তখন আপনি নিজের থেকে লেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। আপনি বুঝেন না যে যদি আপনার ওই বিষয়টি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনি একই বিষয়ে তার থেকেও অনেকগুন ভালোভাবে বর্ণনা করতে পারবেন।  দেখা যাবে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন যে আপনি এত সুন্দর করে লিখতে পারেন।

আরও জানতে ক্লিক করুন- 100 টাকা ইনকাম করতে চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।

এখন হয়ত আপনি প্রশ্ন করবেন আচ্ছা সবই তো বুঝলাম কিন্তু, একটা বিষয় একজন লিখে ফেলেছে সেই বিষয়টি আমি আবার কি করে নতুন করে লিখব বিষয় তো এক। এজন্য আপনাকে ইন্টারনেটে বা অন্য কোন ভাবে সেই বিষয় সম্পর্কে লেখা প্রত্যেকটি আর্টিকেল কে খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তে হবে। আপনাকে আরও তথ্য বহুল করে লিখতে হবে।যেন আপনার আর্টিকেলে আরো অনেক তথ্য থাকে।

 

আপনারা সবাই জানেন একটা মানুষের কোন একটি বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকে না। হয়ত একজন  একটা তথ্য তার লেখাতে তুলে ধরল ।সেই  একই বিষয় সম্পর্কে অন্যজন  আরেকটা নতুন তথ্য দিয়ে তার আর্টিকেল লিখল। আবার আপনি যখন ওই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন তখন আপনি নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারবেন। আপনি আরেকটি নতুন বিষয় জানবেন যা অন্যরা তাদের  লেখায় উল্লেখ করেনি। এখন যতগুলো বিষয় আপনি জানতে পারলেন সব বিষয়গুলো কে যখন আপনি নিজের ভাষায় প্রকাশ করে লিখবেনতখন কোনভাবেই কিন্ত আপনার লেখাটি কপি হবে না ।কারন আপনি বিষয়গুলো জানার ফলে আপনার নিজের মত করে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা, নিজের মত লেখার ক্ষমতা আপনার ভিতরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরী হয়ে গেছে আপনি যা হয়ত আপনি   নিজেই জানতে পারেন নাই।

আরও জানতে ক্লিক করুন-১৬ টি ব্লগ এসইও টিপস & ট্রিকস

আপনি যদি বাংলা আর্টিকেল লিখতে বিস্তারিত ধারনা পেতে চান তার জন্য আপনি বিভিন্ন বাংলা ব্লগ, নিউজ চ্যানেল, জাতীয় পত্রিকা, ওয়েবসাইট, নিউজ আউটলেট, ইউটিউব চ্যানেল সহ বিভিন্ন বই পড়তে পারেন। ইংরেজি আর্টিকেল লেখার জন্যও আমি একই পরামর্শ দিব। বিভিন্ন সাইটে আপনি আপনার অজানা অনেক প্রশ্নের বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ঘরে বসে সহজেই।

 

আপনি চাইলেই এসকল সাইট থেকে তথ্যগুলো জেনে নিয়ে নিজের মত করে আর্টিকেল লিখে বিভিন্ন ব্লগে লিখে আয় করতে পারবেন।

 

তো দেরি না করে ঘুরে আসুন  আপনার প্রিয় বিষয়ে লেখা আর্টিকেল গুলো। এবং সেখান থেকে তথ্য নিয়ে লিখুন আপনার নিজের মত করে। বাংলাভাষা-ভাষী মানুষের জন্য রয়েছে বিভিন্ন অনলাইন ব্লগ সাইট।বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য  জানার জন্য এরকম ব্লগসাইট খুব তথ্য বহুল।আপনি চাইলে আপনার লিখা আর্টিকেল এই সাইটে প্রকাশ করতে পারবেন তাদের সাথে যোগাযোগ করে।

আরও জানতে ক্লিক করুন- ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় পার্ট -১

মোটকথা আপনি আপনার নিজের মত করে লিখুন সব যায়গা থেকে শুধু তথ্য সংগ্রহ করুন কিন্তু কপি করবেন না।আশা করি নতুন তারা আছে তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি উপকারী হবে।

আর্টিকেল লিখে আয় করার দারুন একটি সাইট সম্পর্কে জানতে আমার এই লেখাটি পড়ুন।