একজন মধ্যবিত্তর গল্প
একজন মধ্যবিত্তর গল্প

একজন মধ্যবিত্তর গল্প,
ওই একটা কথা আছে না মানুষ বাঁচে এসএসসি পর্যন্ত। এইটাই সত্যি।
আর একজন মধ্যবিত্ত তো প্রতিদিন মারা যায়। কারণ ফ্যামিলির কথা বন্ধুদের কথা এবং আরোও কতো কিছু। একটা ছেলে আছে, যার নাকি তীব্র ইচ্ছা তার মায়ের জন্য ভালো কিছু করা। নিজের জন্য কিন্তু কিছুই করে না সে। তার মা - বাবা কে দেখে আর কাজের জন্য শক্তি পায়।
সেই ছেলের শান্তির স্থান হচ্ছে তার মা। ছেলেটা এমন ছিল যে কখনো বন্ধু বানায় নি কাউকে। কারণ সে জানতো বন্ধু বানায় তে গেলে টাকার দরকার যেটি তার ছিল না। এমন ভাবে স্কুল জীবন শেষ করে। কলেজ জীবনে চলে আসে। কিন্তু সে জানতো না কলেজ জীবনে কি অপেক্ষা করছে। এমন কলেজ জীবন কারো যেন না হই এইটা আমার চাওয়া। থাকতে হয় বাড়ি থেকে অনেক অনেক দূরে।
ছেলেটা থাকতো মেসে। যেখানে সে দেখতো যে মেস এর অনেক ছেলে আছে এবং তার ক্লাস এর অনেকে আছে যারা বড়োলোকী জীবন যাপন করতো। কিন্তু ছেলেটা শুধু দেখতো। কারণ তার করার কিছু ছিল না। যেখানে ছেলেটার এমন ও মাস যায় শুধু 50 টাকা পকেটে নিয়ে আবার এমন ও দিন যায় এক বেলা খেয়ে। কিন্তু কিছু করার উপায় নাই। কারণ সে যা করে তার মায়ের জন্য এবং ভবিষ্যৎ ফ্যামিলির জন্য।
ছেলেটা খুব রাগি এবং আবেগি। যার কারণে ছেলেটা সব সময় নিজের অজানতেই ভুল করে থাকে। ছেলেটার না আছে কোনো উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ না আছে একটা নির্ভরযোগ্য জীবন। আছে শুধু মা আর হাতে গোনা কয়েক জন(আব্বু, নানা,নানি,মামা,মামি, চাচ্চু, ভাই, বোন একজন বেস্ট ফ্রেন্ড আর ফ্যামিলির সদস্য) যারা ছেলেটাকে সব সময় শক্তি আর সাহস যোগায়। এর ভিতরে এমন ও কেউ আছে যে নাকি ছেলেটার কিছুই হয় না। এর ভিতরে এমন একজন আছে যে না থাকলে হইতো ছেলেটাকে আরও কষ্ট পেতে হইতো তার কলেজ জীবনে ।
কারণ কলম খাতা কিনার টাকাটা পর্যন্ত ছেলেটার কাছে থাকতো না। সেই মানুষটা তাকে তার হাফ দিয়ে দিতো। কলম, খাতা এবং কি তার খাবার ও টাকা পর্যন্ত। ছেলেটার মাবাবা ছেলেটা কে অনেক অনেক কষ্টে বড় করতে ছিল। শুধু ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর জন্য এ ছাড়া তার কোনো চাওয়া নাই।
ধন্যবাদ জানাই এমন কিছু মানুষকে যারা ছেলেটার জীবনে না আসলে হইতো ছেলেটা অনেক অনেক সমস্যার সম্মুখীন হইতাম। বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতে চাই যারা সব সময় ছেলেটাকে এতো সাহায্য করেছে। ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না ছেলেটা জীবনের প্রথম বন্ধু/ বান্ধবী আর ছেলেটার মামা যাকে ছেলেটা শশুর বলে ডাকতো।(মজা করে) এতো সাহায্য করার জন্য এবং পাশে থাকার জন্য ছেলেটা তাদের উপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
আপনাদের জন্য হইলেও ছেলেটা কিছু করতে পারবে এইটা আমার বিশ্বাস । কারণ আপনারা সব সময় ছেলেটার পাশে ছিলেন দেখে ছেলেটা এখনো লেখাপড়া করতে পারতেছে। সর্ব প্রথম ধন্যবাদ আল্লাহকে জানাই কারণ তিনি আপনাদের মতো মানুষকে পাঠিয়েছেন ছেলেটার জীবনে। ইনশাল্লাহ ছেলেটা আপনাদের এই চেষ্টা বিফলে যাইতে দিবে না। সর্বোচ্চ টা দিয়ে দিবে আপনাদের স্বপ্ন পুরনের জন্য। আল্লাহ যেন ছেলেটাকে তার স্বপ্নপুরনে তাওফিক দান করেন।